আন্তর্জাতিক বেস্ট সেলার ৪টি বই

১. আর রাহিকুল মাখতুম ।

২. তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধি ।

৩. রাসুল সা.-এর ২৪ ঘণ্টার আমল।

৪. ফয়জুল কালাম ।

শাইখ আবু ত্বহা ‍মুহাম্মাদ আদনান সাহেবের সাজেস্টকৃত আন্তর্জাতিক বেস্ট সেলার ৪টি বই সংগ্রহে রাখুন আপনিও। আর রাহিকুল মাখতুম বইটি আন্তর্জাতিক সীরাত প্রতিযোগীতায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত একটি বই। তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আল্লাম তাকি ‍উসমানি হাফি. এর অসাধারণ একটি বই। আমাদের জীবনকে সুন্নাতি রঙে রাঙাতে হলে জানতে হবে নবিজি সা.-এর জীবনকে, নবিজির পছন্দ-অপছন্দকে, নবিজির চরিত্রকে। রাসুল সা.-এর ২৪ ঘণ্টার আমল মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার ছাহেব (রহ.) রচিত একটি কালজয়ী গ্রন্থ। মুফতি ফয়জুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত একটি অমর গ্রন্থ ফয়জুল কালাম। কিতাবটির গ্রহণযোগ্যতা সর্বজন বিদিত। হাদিসের বিষয় ভিত্তিক সংকলন এবং তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বইটির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে।

বিস্তারিত জানতে কল করুন : 01317081920

আন্তর্জাতিক বেস্ট সেলার ৪টি বই ।

১. আর রাহিকুল মাখতুম ।

২. তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধি ।

৩. রাসুল সা.-এর ২৪ ঘণ্টার আমল।

৪. ফয়জুল কালাম ।

শাইখ আবু ত্বহা ‍মুহাম্মাদ আদনান সাহেবের সাজেস্টকৃত আন্তর্জাতিক বেস্ট সেলার ৪টি বই সংগ্রহে রাখুন আপনিও। আর রাহিকুল মাখতুম বইটি আন্তর্জাতিক সীরাত প্রতিযোগীতায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত একটি বই। তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আল্লাম তাকি ‍উসমানি হাফি. এর অসাধারণ একটি বই। আমাদের জীবনকে সুন্নাতি রঙে রাঙাতে হলে জানতে হবে নবিজি সা.-এর জীবনকে, নবিজির পছন্দ-অপছন্দকে, নবিজির চরিত্রকে। রাসুল সা.-এর ২৪ ঘণ্টার আমল মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার ছাহেব (রহ.) রচিত একটি কালজয়ী গ্রন্থ। মুফতি ফয়জুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত একটি অমর গ্রন্থ ফয়জুল কালাম। কিতাবটির গ্রহণযোগ্যতা সর্বজন বিদিত। হাদিসের বিষয় ভিত্তিক সংকলন এবং তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বইটির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে।

বিস্তারিত জানতে কল করুন : 01317081920

আর রাহিকুল মাখতুম

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ মহামানবের জীবন ও কর্ম নিয়ে সারা পৃথিবীতে শত শত ভাষায় লিখিত হয়েছে অসংখ্য সিরাত গ্রন্থ। সেসব সিরাত গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ হচ্ছে আল্লামা শফিউর রহমান মুবারকপুরী রচিত বিশ্ববিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ ‘আর রাহিকুল মাখতুম’।
এ গ্রন্থটি মূলত সিরাতের ওপর রচিত অতীতের শত শত গ্রন্থের মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংকলন। এক কথায় সিরাত সংক্রান্ত বিশাল সংগ্রহশালার একটি নির্যাস গ্রন্থ। ‘আর রাহিকুল মাখতুম’ গ্রন্থের সুন্দর ও সাবলীল প্রকাশ ভঙ্গি এবং লেখকের মোহনীয় শক্তি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের অন্তরে।

তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধি: গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

তাসাওউফ বা আত্মশুদ্ধি, মুমিন জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। আত্মিক উন্নতি ছাড়া মুমিন নিজেকে নফসের ধোঁকা থেকে, শয়তানের কবজা থেকে হেফাজত রাখতে পারে না। মুমিনের আত্মিক উন্নতির এ মাধ্যমই হলো ‘তাসাওউফ’ বা ‘আত্মশুদ্ধি’। . নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে পারলেই একজন মানুষ মুমিন হিসেবে নিজেকে রবের সামনে উপস্থাপন করতে পারবে, রবের পক্ষ থেকে মুক্তির আশা রাখতে পারবে। অন্যথায় শয়তান এবং নফসের আধিপত্য তাকে জাহান্নামের গর্তে নিক্ষেপ করবে। চিরসুখ থেকে বিমুখ করে দুর্দশাগ্রস্ত করবে। . অন্তরের সেসব ব্যাধি এবং তার চিকিৎসা নিয়েই রচিত এ বইটি। শাইখুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি সাহেব দামাত বারকাতুহুম রচিত এ গ্রন্থটি মানুষের দিলের সেসব রোগ এবং ব্যাধি দূরের প্রক্রিয়া ও মাধ্যম জানাবে। বইটির পাঠ মানস মনে শুদ্ধির ঝড় তুলুক এবং এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা, নফসের গোলামি থেকে হেফাজত করুক।

তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধি: গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

তাসাওউফ বা আত্মশুদ্ধি, মুমিন জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। আত্মিক উন্নতি ছাড়া মুমিন নিজেকে নফসের ধোঁকা থেকে, শয়তানের কবজা থেকে হেফাজত রাখতে পারে না। মুমিনের আত্মিক উন্নতির এ মাধ্যমই হলো ‘তাসাওউফ’ বা ‘আত্মশুদ্ধি’। . নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে পারলেই একজন মানুষ মুমিন হিসেবে নিজেকে রবের সামনে উপস্থাপন করতে পারবে, রবের পক্ষ থেকে মুক্তির আশা রাখতে পারবে। অন্যথায় শয়তান এবং নফসের আধিপত্য তাকে জাহান্নামের গর্তে নিক্ষেপ করবে। চিরসুখ থেকে বিমুখ করে দুর্দশাগ্রস্ত করবে। . অন্তরের সেসব ব্যাধি এবং তার চিকিৎসা নিয়েই রচিত এ বইটি। শাইখুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি সাহেব দামাত বারকাতুহুম রচিত এ গ্রন্থটি মানুষের দিলের সেসব রোগ এবং ব্যাধি দূরের প্রক্রিয়া ও মাধ্যম জানাবে। বইটির পাঠ মানস মনে শুদ্ধির ঝড় তুলুক এবং এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা, নফসের গোলামি থেকে হেফাজত করুক।

রাসুল সা.-এর ২৪ ঘণ্টার আমল

আমাদের জীবনকে সুন্নাতি রঙে রাঙাতে হলে জানতে হবে নবিজি সা.-এর জীবনকে, নবিজির পছন্দ-অপছন্দকে, নবিজির চরিত্রকে। জানতে হবে নবিজি কীভাবে অজু করতেন, কীভাবে নামাজ পড়তেন, নামাজের ক্ষেত্রে কোথায় কোন আমলকে প্রাধান্য দিতেন। নবিজির ২৪ ঘণ্টা কীভাবে কাটত?

একদিনের সমষ্টি ২৪ ঘণ্টায় নবিজি কী কী আমল করতেন, নামাজ, রোজা, পাক-নাপাক, অজু-গোসল, হজ, জাকাত, কুরবানি-সহ ঈদ উদযাপন এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানার মাধ্যমেই সম্ভব নবিজির মতো করে নিজ জীবন পরিচালনা করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্র ছিল কুরআনি সজ্জায় সজ্জিত। কুরআন ও হাদিসের সেই জীবনকেই তুলে ধরা হয়েছে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে।

বইটিতে আলোচিত হয়েছে মুমিনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ নানান বিষয়।মুআমালাত, মুআশারাত অধ্যায়ে জায়গা করে নিয়েছে—মিরাস, অসিয়ত, ফিদয়াহ, বিবাহ; উস্তাদের আদব, পিতা-মাতার আদব ও নানান আদব। এ ছাড়াও আলোচনা হয়েছে সন্তান লালন-পালন প্রক্রিয়া। সবশেষে আলোচিত হয়েছে মুমিনের সকাল-সন্ধ্যার দুআ ও মোনাজাত।মোটকথা, বইটি একজন মুমিনের ২৪ ঘন্টা পরিচালনার ক্ষেত্রে অনন্য সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।

ফয়জুল কালাম

মুফতি ফয়জুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত একটি অমর গ্রন্থ ফয়জুল কালাম। কিতাবটির গ্রহণযোগ্যতা সর্বজন বিদিত। হাদিসের বিষয় ভিত্তিক সংকলন এবং তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বইটির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে।

বইটিতে প্রতিটি হাদিসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ অংশে হাদিসের প্রতিটি অংশ পাঠককে বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করা হয়েছে। হাদিসের বাক্যে এর মর্ম উদ্ধার না করতে পারলেও ব্যাখ্যা দেখে ঠিকই বুঝে নিতে পারবেন, হাদিসের ভাষ্যে আল্লাহর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বোঝাতে চেয়েছেন। লক্ষাধিক হাদিসের মধ্যে বাছাই করে এই হাদিসগুলোকে তিনি একত্র করেছেন, যাতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এর দ্বারা ফায়দা লাভ করতে পারে।

একই উদ্দেশ্য নিয়ে দারুত তিবইয়ান বইটিকে বাংলা ভাষাভাষি পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে সকলেই এর থেকে ফায়দা অর্জন করতে পারে।

ফয়জুল কালাম

মুফতি ফয়জুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত একটি অমর গ্রন্থ ফয়জুল কালাম। কিতাবটির গ্রহণযোগ্যতা সর্বজন বিদিত। হাদিসের বিষয় ভিত্তিক সংকলন এবং তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বইটির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে।

বইটিতে প্রতিটি হাদিসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ অংশে হাদিসের প্রতিটি অংশ পাঠককে বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করা হয়েছে। হাদিসের বাক্যে এর মর্ম উদ্ধার না করতে পারলেও ব্যাখ্যা দেখে ঠিকই বুঝে নিতে পারবেন, হাদিসের ভাষ্যে আল্লাহর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বোঝাতে চেয়েছেন। লক্ষাধিক হাদিসের মধ্যে বাছাই করে এই হাদিসগুলোকে তিনি একত্র করেছেন, যাতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এর দ্বারা ফায়দা লাভ করতে পারে।

একই উদ্দেশ্য নিয়ে দারুত তিবইয়ান বইটিকে বাংলা ভাষাভাষি পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে সকলেই এর থেকে ফায়দা অর্জন করতে পারে।

লেখকদের পরিচয়

আল্লামা তাকি উসমানি

আল্লামা জাস্টিজ তকি উসমানি বর্তমান বিশ্বের একজন প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি হাদিস, ইসলামি ফিকহ, তাসাউফ ও অর্থনীতিতে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তিনি বর্তমানে ইসলামি অর্থনীতিতে সক্রিয় ব্যক্তিদের অন্যতম। তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালতের এবং ১৯৮২ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়াহ আপিল বেঞ্চের বিচারক ছিলেন। তিনি বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ “মাআরিফুল কুরআন”এর রচয়িতা মুফতি শফি উসমানির সন্তান এবং বিখ্যাত দুই ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা রফী উসমানি ও মাওলানা ওয়ালী রাজী’র ভাই।

আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী

আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী। তিনি একজন স্বনামধন্য ইসলামি লেখক এবং ভারত উপমহাদেশের বিখ্যাত মুহাদ্দিস বা হাসিদবেত্তা। তার লেখা রাসূলের জীবনী গ্রন্থ আর্-রাহীকুল মাখতূম সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বহু ভাষায় অনুদিত একটি বই। তিনি ১৯৬১ সালে শরিয়ত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও লেখালেখি শুরু করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে মদীনাস্থ আন্তজার্তিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাসূল বিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালের ১লা ডিসেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।

মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার ছাহেব (রহ.)

হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) সুন্নতি যে বিশুদ্ধ ধারার প্রবর্তন করেছিলেন তা বাংলাদেশে প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা ছিল হাকিম মুহাম্মদ আখতার (রহ.)-এর। তার আধ্যাত্মিক উত্তরসূরি শত শত আলেম বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে দ্বীনের বিশুদ্ধ ধারা চর্চা করছেন এবং হেদায়াতের আলোকচ্ছটা বিলিয়ে যাচ্ছেন। বার বার তিনি এদেশে এসেছেন এবং সুন্নত অনুযায়ী জীবন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন। তার আধ্যাত্মিক দীক্ষা ও নির্দেশনা পেয়ে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন এদেশের আলেম-ওলামা। শেষ বয়সে অসুস্থতার কারণে তিনি নিয়মিত আসতে না পারলেও অনেকেই তার দরবারে গিয়ে আধ্যাত্মিক দীক্ষা অর্জন করতেন। পাকিস্তানের করাচি শহরে তার খানকা ছিল বাংলাদেশের আলেম-ওলামার বিশেষ ঠিকানা। তাছাড়া সুন্নতের চর্চা ও বিকাশের লক্ষ্যে গঠিত সংগঠন দাওয়াতুল হকের বাংলাদেশের কার্যক্রম তিনিই তত্ত্বাবধান করতেন।  
 
মাওলানা শাহ আখতার (রহ.)-এর জন্ম ১৯২৩ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে। তার বাবা মুহাম্মদ হোসাইন ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন মা-বাবার একমাত্র ছেলে। এছাড়া তার দু’জন বোন ছিলেন। হাকিম আখতার (রহ.) ছিলেন সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি আলিগড় তিব্বিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও তার পারিবারিক পরিমণ্ডলে ছিল দ্বীনদারি। এজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি বুজুর্গদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। যে কোনো দ্বীনি কাজে তিনি এগিয়ে যেতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি হাকিমী চিকিৎসক ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি দ্বীনি শিক্ষাও অর্জন করেন এবং পুরোপুরিই দ্বীনের খেদমতে নিজেকে নিবেদন করেন।
 
মাওলানা মুহাম্মদ আখতার প্রথমে ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান গঞ্জে মুরাদাবাদী ও মাওলানা সাইয়েদ বদরে আলম শাহ’র কাছ থেকে আধ্যাত্মিত দীক্ষা লাভ করেন। একই সময় তিনি মাওলানা শাহ মুহাম্মদ প্রতাপগড়ীর কাছ থেকেও খেলাফত লাভ করেন। পরে তিনি ১৭ বছর পর্যন্ত মাওলানা শাহ আবদুল গনি ফুলপুরীর সান্নিধ্যে কাটান। এ সময়ই তিনি নিয়মতান্ত্রিক দ্বীনি শিক্ষা হাসিল করেন। পরবর্তী সময়ে ফুলপুরী (রহ.)-এর আধ্যাত্মিক উত্তরসূরিও তিনি নির্বাচিত হন। শেষ জীবনে তিনি ‘হারদুঈর হজরত’ খ্যাত মাওলানা শাহ আবরারুল হক (রহ.)-এর কাছ থেকে আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভ করেন। তিনি যে তিনজন বুজুর্গ থেকে আধ্যাত্মিক দীক্ষা অর্জন করেন তারা প্রত্যেকেই ছিলেন হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.)-এর খলিফা। আর থানভী (রহ.) ছিলেন উপমহাদেশের দ্বীনদার মুসলমানদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক রাহবার। তাসাউফের যে চারটি ধারা চিশতিয়া, কাদেরিয়া, নকশেবন্দিয়া ও সোহরাওয়ার্দীয়া-প্রতিটি তরিকার বুজুর্গ ছিলেন মাওলানা হাকিম মুহাম্মদ আখতার (রহ.)। একজন পূর্ণাঙ্গ পীর ও অলি হিসেবে তিনি খ্যাত ছিলেন।

মুফতি আযম আল্লামা ফয়জুল্লাহ (রহ)

প্রকৃত নাম ফয়জুল্লাহ,উপাদি মুফতি আজম , খাকি হিসেবে বিশেষ পরিচিত ছিলেন।
হযরত মুফতি আযম ফয়জুল্লাহ (রহঃ) ১৩১০হিযরী মোতাবেক ১৮৯০ ইংরেজী সনে জন্ম গ্রহণ করেন।হযরতের বংশের লোকেরা ঐ যুগে অনেক প্রশিদ্ধ ও নাম করা লোক ছিলেন।
হযরতের মরহুমা মায়ের অসিয়ত অনুসারে,হযরতের বয়স যখন সাত বছর, তখন তার খৎনা অনুষ্ঠান করা হয়,সেসময় বড় আকারের খানা-পিনার আয়োজন করা হয়। ঐ সময় তাকে উত্তম পোশাক পরিধান করিয়ে, হযরত মাওলানা আব্দুল কাদের (রহঃ) এর খেদমতে উপস্তিত করিয়ে তার জন্য দোয়া করানো হয় এবং উনার হাতেই তার লেখা-পরা শূরু হয়।হহযরত আব্দুল কাদের (রহঃ) হযরত রশীদ আহমদ গঙ্গুহী (রহঃ) এর খাছ ছাত্র ছিালেন।

বাল্য জীবনের নানা ঘটনাবলিঃহজরতে আম্মা তাকে নিয়ে দুরচিন্তা করতেন।কারণ তিনি অন্যান্য শিশুদের মত দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা করতেন না।তাকে যেখানে বসিয়ে রাখা হত, সেখানেই বসে থাকতেন।আম্মাজান মনে করতেন আমার ছেলে হয়তো বোকা বা প্রতিবন্ধী হবে।কিন্তুু এটাই ছিল একজন আল্লাহর ওলীর বাস্তবিক শিশু কাল। ছোটবেলায় কখনও দাড়িয়ে পেশাব করতেন না,নেংটা থাকতেন না। এ সবই ছিল তার বড় হবার নিদর্শন।

ঘটনা(১)উর্দুখানার কিতাবে পরেছেন অনাত্বীয় মহিলাদের সাথে দেখা করা যায়েজ নাই।তাই তিনি মাদ্রাসা থেকে এসে বাড়িতে না গিয়ে কাচারি ঘরে বসে পড়া আরম্ব করেন।আব্বাজান যখন ডাকতে আসেন,তখন জবাবে তিনি বলেন আব্বাজান নিজ কিতাবে পড়েছি মেয়েদের সাথে দেখা করা হারাম।তাই বাসায় গেলে মহিলাদের সাথে দেখা হলে গুনাহ হবে।আব্বাজান তাকে অনেক বুঝালেন কোন লাভ হল না,অবশেষে উস্তাদের মাধ্যমে বুঝানোর পর আবার ঘরে আসা যাওয়া শুরু করেন।

ঘটনা(২):প্রতিদিন মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করে পড়া-লেখা করতেন।একদিন যখন চেংখালি ব্রিজ নামক খালের কাছে আসেন, তখন ব্রিজ ছিল না।যখন তিনি খালে নামেন তখন তিনি নিজেকে সম্বোদন করে মনে মনে বলেন দেখ ফয়জুল্লাহ তুমি যদি কাপড় তুলে খাল পার হও, তবে কাপড় বিজবে না কিন্তুু সতর খুলার কারণে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে।আর যদি কাপড় বিজিয়ে পাড় হও তাহলে আগুন দেখে বাঁচবে।জাহান্নামের আগুন সহ্য করতে পারবে না বিধায় পানিতে বিজে পার হোন।এমনি ছিল মুফতি ফয়জুল্লাহ (রহঃ) বাল্য জীবন।

অর্ডার করতে নিচের ফরম টি পূরণ করুন

Billing details

Bangladesh

Bangladesh

Your order

Product Subtotal
আন্তর্জাতিক বেস্ট সেলার ৪টি বই  × 1 ৳ 1,000.00
Subtotal ৳ 1,000.00
Shipping
Total ৳ 1,060.00
  • আপনার বই বুঝে পেয়ে ডেলিভারী ম্যান এর কাছে বইয়ের মূল্য পরিশোধ করুন।

বিস্তারিত জানতে কল করুন : 01317081920

Scroll to Top